তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে ৬৩টি জেলায় এবং ১৮টি উপজেলায় জনঅবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে ৪৫টি জেলায় এবং ১৪টি উপজেলায় সর্বমোট ১০৮৪৫ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংবাদিক, শিক্ষক, পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ
সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ
মুল মেনু
প্রথম পাতা
কমিশনের কার্যাবলী
সাম্প্রতিক কার্যাবলী
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কর্তব্য
আপীল প্রক্রিয়া
কিছু জরুরী প্রসংগ
প্রকাশনা ও প্রতিবেদন
ডাউনলোড করুন
ত্রৈমাসিক নিউজ লেটার
সংবাদ আর্কাইভ
বাজেট
কুইক লিঙ্কস
ফেসবুকে তথ্য কমিশন
জাতীয় ওয়েব পোর্টাল
মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ
জাতীয় ই-তথ্যকোষ
তথ্যমন্ত্রণালয়
তথ্য অধিদফতর
মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত ঠিকানা
মিডিয়া মাস্টার
রেলওয়ে ই-টিকেটিং
ই-স্বাস্থ্য সেবা
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর
আসন্ন কর্মসূচী
পরবর্তী হেয়ারিংয়ের তারিখঃ
Meeting-Training:
২। ২২ জুন, ২০১৪ তারিখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তথ্য অধিকার আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও জনবহিতকরণসভা
১। ২৬জুন, ২০১৪ তারিখে সিলেটে 'Promoting Citizens' Access to Information শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে
প্রধান তথ্য কমিশনার প্রধান অতিথি থাকবেন
প্রথম পাতা আইন ও বিধি
তথ্য অধিকার আইন
২০০৯ সনের ২০ নং আইন
তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীন আইন
যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকতৃ এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিমত্মা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার
একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; এবং
যেহেতু জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হইলে সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাইবে, দুর্নীতি হ্রাস পাইবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে; এবং
যেহেতু সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।-(১) এই আইন তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইনের -
(ক) ধারা ৮, ২৪ এবং ২৫ ব্যতিত অন্যান্য ধারা ২০ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
(খ) ৮, ২৪ এবং ২৫ ধারা ১লা জুলাই, ২০০৯ তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা ।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী না হইলে, এই আইনে -
(ক) ‘‘আপীল কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ -
(অ) কোন তথ্য প্রদান ইউনিটের ক্ষেত্রে উক্ত ইউনিটের অব্যবহিত ঊর্ধ্বতন
কার্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান; অথবা
(আ) কোন তথ্য প্রদান ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কার্যালয় না থাকিলে, উক্ত তথ্য প্রদান
ইউনিটের প্রশাসনিক প্রধান;
(খ) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ -
(অ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সৃষ্ট কোন সংস্থা;
(আ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কার্য
বিধিমালার অধীন গঠিত সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়;
(ই) কোন আইন দ্বারা বা উহার অধীন গঠিত কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(ঈ) সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত বা সরকারী তহবিল হইতে সাহায্যপুষ্ট কোন
বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(উ) বিদেশী সাহায্যপুষ্ট কোন বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(ঊ) সরকারের পক্ষে অথবা সরকার বা সরকারী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহিত
সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক সরকারী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন
বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান; বা
(ঋ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(গ) ‘‘কর্মকর্তা’’ অর্থে কর্মচারীও অমত্মর্ভুক্ত হইবে;
(ঘ) ‘‘তথ্য প্রদান ইউনিট’’ অর্থ -
(অ) সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়ের সহিত সংযুক্ত বা অধীনস্থ কোন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর বা দপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা কার্যালয় বা উপজেলা কার্যালয়;
(আ) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা
কার্যালয় বা উপজেলা কার্যালয়;
(ঙ) ‘‘তথ্য কমিশন’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত তথ্য কমিশন;
(চ) ‘‘তথ্য’’ অর্থে কোন কর্তৃপক্ষের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকান্ড সংক্রান্ত যে কোন স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগ বহি, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রসত্মাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, অংকিতচিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্ত্ততকৃত যে কোন ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোন তথ্যবহ বস্ত্ত বা উহাদের প্রতিলিপিও ইহার অমত্মর্ভুক্ত হইবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, দাপ্তরিক নোট সিট বা নোট সিটের প্রতিলিপি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(ছ) ‘‘তথ্য অধিকার’’ অর্থ কোন কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার;
(জ) ‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের তফসিল;
(ঝ) ‘‘তৃতীয় পক্ষ’’ অর্থ তথ্য প্রাপ্তির জন্য অনুরোধকারী বা তথ্য প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অনুরোধকৃত তথ্যের সহিত জড়িত অন্য কোন পক্ষ;
(ঞ) ‘‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন নিযুক্ত কর্মকর্তা;
(ট) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;
(ঠ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ৩৪ এর অধীন প্রণীত কোন প্রবিধান;
(ড) ‘‘বাছাই কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৪ এর অধীন গঠিত বাছাই কমিটি;
(ঢ) ‘‘বিধি’’ অর্থ ধারা ৩৩ এর অধীন প্রণীত কোন বিধি।
৩। আইনের প্রাধান্য। -প্রচলিত অন্য কোন আইনের -
(ক) তথ্য প্রদান সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলী দ্বারা ক্ষুণ্ন হইবে না; এবং
(খ) তথ্য প্রদানে বাধা সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯